নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হতে কুষ্টি পাথর উদ্ধার

নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা যথাক্রমে নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার ১৪৭.৯১৮ কিঃ মিঃ অংশে অনাকাঙিক্ষত  দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি মাদক পাচার/গরুসহ অন্যান্য চোরাচালানী প্রতিরোধকল্পে অত্যন্ত সতর্ক প্রহরা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকতর স্পর্শকাতর স্থান সমূহ চিহ্নিত পূর্বক সিভিল সোর্স, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সার্বক্ষনিক নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটে অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ডানাকাটা বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ৭৭৩/২২-এস হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ কালিয়াগঞ্জ নদীর পার্শ্ব হতে ২০.৯০০ কেজি ওজনের ০১টি কুষ্টি পাথর (মূর্তির অংশ বিশেষ) উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কুষ্টি পাথর (মূর্তির অংশ বিশেষ) আসল কুষ্টি পাথর কিনা তা যাচাই করার নিমিত্তে অদ্য ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখ বাংলাদশ জুয়লার্স সমিতি, নীলফামারী জেলা শাখায় প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদশ জুয়লার্স সমিতি, নীলফামারী জেলা শাখা কর্তৃক পরীক্ষা করা হলে তারা সেটিকে আসল কুষ্টি পাথর হিসেবে সনাক্ত করে । উদ্ধারকৃত কুষ্টি পাথরেরে সিজার মূল্য ২০,৯০,০০০/-(বিশ লক্ষ নবই হাজার) টাকা।

উল্লেখ, নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ নীলফামারী এবং পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় নিয়মিতভাবে পূর্ব থেকেই সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র গোয়েন্দা নজরদারী ও টহল তৎপরতা চলমান থাকায় এ ধরণের সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, প্রিট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সাধারণ জনগনের সহযোগিতায় এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে (৫৬-বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয় ।